নিজস্ব প্রতিবেদক: কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ এবং পুঠিয়ায় বিএনপির প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল সোমবার পবা ও পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে।
এদের মধ্যে কাটাখালীতে মেয়র পদে বিপুল ভোট পেয়েছেন পৌর আ.লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট। আর পুঠিয়ায় বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান ৫৯২০ ভোট।
পুঠিয়ায় পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান ৫৯২০ ভোট পেয়ে ৭৬২ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমন মেয়র রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৫১৫৮ ভোট।
কাটাখালী পৌরসভায় ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজীয় হয়েছেন আব্বাস আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যাপক মাজিদুর রহমান পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট। এছাড়াও বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক সিরাজুল হক ৭৩, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সামা ৪৭ ও খোকনুজ্জামান মাসুদ ৭২ ভোট পেয়েছে।
পুঠিয়া ও কাটাখালী পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ভোট হয়েছে ইভিএমে। গতকাল সোমবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে কোন অপ্রীতিকর ঘঁনা ঘটেনি।
এর আগে রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে কাটাখালী ও পুঠিয়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। সবকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট নেয়া হয়। সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো সন্তোষজনক। চারটা বাজার পরেও অনেক কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ সারি ছিলো। অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা।
অনেক জায়গায় ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ভোটাররা। আগে থেকে অভিজ্ঞতা না থাকায় বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে অনেকেই ভোট দিতে অধিক সময় নিয়েছেন। এতে বাইরে লাইনে অপেক্ষা করে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বাকি ভোটারদের। আবার অনেক কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলাতেও বিপাকে পড়েন ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন জানায়, কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এছাড়া পুঠিয়া পৌরসভায় মেয়র পদে তিনজন, নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন ও কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের ধারণা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ভোট গ্রহণের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।