এফএনএস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়াও দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় একাধিক ফায়ার সার্ভিস করা হবে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় আট বিভাগে নবনির্মিত ২০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিসগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ৪৫৬টি ফায়ার সার্ভিস রয়েছে। ৬৭টি ফায়ার সার্ভিসের কাজ চলমান। উপজেলার পাশাপাশি বিশেষ কিছু জেলা এমনকি ইউনিয়ন রয়েছে যেখানে ফায়ার সার্ভিস প্রয়োজন। এ ছাড়া দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় রয়েছে সেগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় ফায়ার সার্ভিস করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২০-৩০ তলা বিল্ডিং বানানোর পারমিশন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর নিরাপত্তা কী হবে, ভূমিকম্প হলে কী হবে, এর অগ্নিনির্বাপণ কীভাবে হবে বা উদ্ধারকাজ কীভাবে হবে- এসব নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন ছিল না। আমাদের সরকার আসার পর থেকে একে একে সেসব ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় কর্মী ও ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিং দিচ্ছি। উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ কিনেছি। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, দেশে আগে ৪৩৬টি ফায়ার সার্ভিস ছিল। গতকাল রোববার উদ্বোধনের পর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫৬টি। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, দেশের ফায়ার সার্ভিসগুলো ২০ তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপণে সক্ষম। খুব শিগগিরই এ সুবিধা ২২ তলায় উন্নীত হবে। আট বিভাগে ২০টি ফায়ার স্টেশনের মধ্যে পাবনা ও বগুড়ায় দুটি, নওগাঁ, রাজশাহী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পিরোজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছে।