নিজস্ব প্রতিবেদক : অগ্রহায়ণের প্রথম দিন থেকে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। কৃষাণীদের হাসি আর ধানের গাদায় দুষ্টুমি করে বেড়ানো তাদের শিশুদের আনন্দ। ধানক্ষেতে লুকিয়ে লুকিয়ে কানামাছি খেলা।
পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধটা কিনা এখন রাজশাহীতে।
জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার আয়োজন করা হয় বর্ণিল উৎসবের। সাঁওতাল রমণী ও পুরুষদের ধান কাটার প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। স্থানীয় সুধিজনদের নিয়ে সেখানে আয়োজন করা হয় নানা নৃত্য, সঙ্গীতসহ নানা অনুষ্ঠানের। সেখানে বাংলার নবান্ন উৎসবের আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা। অতিথি ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামশুল হক।
এর আগে মাঠে বাংলার কৃষক বেশে ধান কাটার কাস্তে, মাথায় মাথইল, ঘাড়ে লাল গামছা বেঁধে ধানের জমিতে ধানকাটা ও মাড়াই করা হয়। এই সময় এক আনন্দ ঘন মুহূর্ত সৃষ্টি হলে হাসি আর মজার আমেজ উঠে আসে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, বরেন্দ্রর রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাপাইনবাবগঞ্জ পুরোদমে আমন কাটা-মাড়াই ও ঘরে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সবখানে শুধু ধানকাটার দৃশ্য।
রাজশাহী কৃষি বিভাগ জানায়, রাজশাহী জেলায় এবার আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয় ৭৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। তবে দফায় দফায় বন্যায় জেলায় ৪৭০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরই মধ্যে ক্ষেত থেকে কৃষকের উঠোনে উঠতে শুরু করেছে সোনালী আমন ধান। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে পিঠা-পায়েস তৈরীর ধুম। কৃষি বিভাগ বলছে, এবার গড় ধানের উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে।