নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষামান ও বিশ্রাম এর জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে যাত্রী ছাউনি।
কিন্তু সেই যাত্রী ছাউনিতে এখন যাত্রীদের অপেক্ষার পরিবর্তে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করেন দোকানিরা। নগরীর রাজপাড়া থানাধিন লক্ষিপুর মোড়ে ব্যস্ততম এ এলাকায় যাত্রী ছাউনিতে বসানো হয়েছে শীত বস্ত্রের দোকান। বিক্রি হচ্ছে কোট-প্যান্ট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মোতালেব নামের এক পথচারী বলেন, যাত্রী ছাউনিতে কেউ বসতে না পারলেও বৃষ্টির সময় যাতে অপেক্ষা করতে পারে সে ব্যবস্থা ও রোদ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে জনগণের সেবায় এই সকল যাত্রী ছাউনি নির্মান করে রাসিক।
কিন্তু যাত্রী ছাউনিতে বস্ত্রের দোকার সত্যিই হতাশা জনক ও উদ্বেগ জনক ঘটনা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও লক্ষীপুর মোড়ে অবস্থিত বে-সরকারী ক্লিনিক গুলোতে রাজশাহীর বাইরে থেকে আসা লোকজনের বিশ্রামারগার ও গাড়ীর জন্য অপেক্ষামান স্থান বলেই আমরা জানতাম। এখন সেই যাত্রী ছাউনি স্থায়ী দোকান বসানোর কি ধরনের কর্মকান্ড আমার জানা নেই বলেও জানান তিনি।
এছাড়া এখানকার ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানের কারণে সমস্যা আরও বেশি হয়। প্রায় সময় মানুষের ভিড়ে ছিনতাই বা পকেটমার চক্র মানিব্যাগ ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়।
যাত্রী ছাউনিতে দোকানের কারনে দূরদুরান্ত থেকে রাজশাহীতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। ফলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস কিংবা অটো রিক্সার অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষিপুরের কাইয়ুম নামের এক ব্যক্তি যাত্রী ছাউনির চারপাশে সাটার পাল্লা লাগিয়ে ডেকোরেশন করে গরম কাপড়ের ব্যবসা করেছেন।
জানতে চাইলে দোকানী কাইয়ুম বলেন, আমি কিছু বলতে পারবোনা, যা জানার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে জানুন।
জানতে চাইলে রাসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (উপসচিব) তৈমুর রহমান এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, আপনাকে জানতে হলে রাসিকের জনসংযোগ শাখায় ফোন দিতে হবে বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে রাসিকের জনসংযোগ শাখার পিআরও মো. মিশু আহম্মদ এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে জেনে আপনাকে জানাবো।